• তথ্য ও প্রযুক্তি

চন্দ্রজয়ী মানব মাইকেল কলিন্সের জীবনাবসান

  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ১১:২৬:০৭

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অ্যাপোলো-১১ এর চন্দ্রজয়ের অভিযানের তিন সদস্যের একজন মাইকেল কলিন্স আর নেই। বুধবার ৯০ বছর বয়সে মারা যান কলিন্স। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।

কলিন্স মারা যাওয়ায় এখন চন্দ্রজয়ী মানবদের মধ্যে ৯১ বছর বয়সী বাজ অলড্রিন বেঁচে আছেন। নিল আর্মস্ট্রং আগেই মারা গেছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে কলিন্সের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে। নাসার ওয়েবসাইটেও মহাকাশচারী মাইকেল কলিন্সের মৃত্যুর খবরটি জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।

এছাড়া টুইটারে মাইকেল কলিন্সের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে তার পরিবারও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে।

কলিন্সের পরিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাইক সবসময়ই নম্রতা আর কোমলতার সঙ্গে জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করেছেন। তিনি একইভাবে তার জীবনের শেষ চ্যালেঞ্জটিও গ্রহণ করেছেন।

১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মনুষ্যবাহী মহাকাশযান উৎক্ষেপণের মাধ্যমে শুরু হয় নাসার অ্যাপোলো-১১ অভিযানের চূড়ান্ত পর্ব।

২০ জুলাই চাঁদের বুকে পা রেখে ইতিহাস গড়েন এই অভিযানের তিন নভোচারীর একজন নীল আর্মস্ট্রং। এর কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় মানব হিসেবে চাঁদের বুকে অলড্রিন পা রাখলেও কলিন্সের নামা হয়নি। তিনি মূল যানে থেকে অভিযানের এক অংশ নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। চাঁদের চারপাশ ঘিরে কক্ষপথে মূল মহাকাশযান কমান্ড মডিউল কলাম্বিয়া নিয়ে একা চক্কর দিচ্ছিলেন মাইকেল কলিন্স। এই তিন নভোচারী আট দিন মহাকাশে কাটিয়ে ২৪ জুলাই পৃথিবীতে ফিরে আসেন।

প্রথম মহাকাশচারী তিনজনের মধ্যে আর্মস্ট্রং মারা যান ২০১২ সালে। কলিন্স মারা যাওয়ায় এখন শুধু বেঁচে আছেন বাজ অলড্রিন।

মাইকেল কলিন্স ১৯৩০ সালে ইতালিতে জন্ম নেন। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল ছিলেন। কলিন্স যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট করেন। এরপর বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৩ সালে নাসা তাকে পাইলট হিসেবে নিয়োগ দেয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo