• অর্থনীতি

চরফ্যাশনে তরমুজের বাম্পার ফলন, লকডাউনে হতাশ আড়ৎদার ও খুচরা বিক্রেতারা

  • অর্থনীতি
  • ০৪ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৪৭:০৩

ছবিঃ সিএনআই

চরফ্যাশন(ভোলা)প্রতিনিধিঃ চরফ্যাশনের কৃষকের খেতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগ থেকে আড়ৎদার ও পাইকারেরা কৃষকের কাছ থেকে কিনে নেয়া কৃষক ভাল দাম পেয়ে আনন্দিত। এদিকে আড়ৎদার ও খুচরা বিক্রেতারা মরণঘাতী করোনা ভাইরাসে আবারও লকডাউনের সংবাদ শুনে হতাশ ভোগ করছে।

চরফ্যাশনে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়,এবছর চরফ্যাশনে চলতি মৌসমে ৪ হাজার ৮০০শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশী তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে আহম্মদপুর, নজরুল নগর ও বিছিন্ন দ্বীপ মুজিবনগরে। উপজেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগনেরা জানিয়েছেন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের তরমুজ চাষিদেরকে উৎসাহিত করা হয়েছে বলেই তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। যদিও তরমুজ চাষীরা বলেছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, আমরা প্রতিবছর তরমুজ চাষ করি লোকসানে মুখে পড়ে নিজেদের কলা কৌশল এবং পদ্ধতি ব্যবহার করে অবশেষে তরমুজ চাষে সফলতা অর্জন করেছি। ফলে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলার দুলারহাট থানার আহম্মদপুর গ্রামের তরমুজ চাষী আলাউদ্দিন বলেন, এর আগের বছর যখনি ফসল ধরেছে এমন মুহুত্বে কালবৈশাখী ঝড়ৈ তছনছ করে ডুবিয়ে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু, আমি এবছর ৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ করছি। আমার জমিতে ফসল গত বছরের তুলনা দ্বিগুন ভাল হয়েছে। ভাবছি আগের বছরের ক্ষতি এবছর ফসল দিয়ে উঠিয়ে আনতে পারব। বেশ কিছু জমির ফসল বিক্রে করে ফেলছি।কিছু ফসল এখন কাটার সময় হয়েছে তখনি দেশে লকডাউন দেয়ায় পূর্বের মত পাইকার দেখা যাচ্ছেনা।

চরফ্যাশন শহরের পাইকার ইব্রাহিম বলেন,আমরাও কৃষককে ভাল দাম দিয়ে ক্রয় করে এনেছি।মোটা মুটি ভাল দামে বিক্রি করছি। কিন্তু হঠাৎ লকডাউনের কথা শুনে একটু হতাশ হয়ে পড়েছি। ভাল দাম পেয়েছি কারন প্রচুর গরম পড়ছে। কথা হয় আমিনাবাদ, আহম্মদপুর, নজরুল নগর ও বিছিন্ন দ্বীপ মুজিব নগরের কয়েজন তরমুজ চাষা কৃষকের সাথে। তারা বলেন, তরমুজ ফসলের অবস্থা এবার ভাল। বাজারও মুটামুটি চলছে। তবে সমস্যা কিছুদিনের মধ্যে কাটিয়ে গেলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। কিন্তু তরমুজ চাষীরা এবার ন্যায্যমূল্যে পেয়ে আনন্দিত। দুলারহাট থানার মুজিবনগর ও আহম্মদপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শিপন বলেন, মুজিবনগরে ৪শ হেক্টর জমিকে এবার তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে। এখানে ফসল খুবই ভাল। ছোট সাইজ ১শ

টাকা ও মধ্যম সাইজ ২শ টাকা ও বড় সাইজ ৩শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এই বছর তরমুজ খুবই সুু স্বাধু ও মিষ্টি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাছনাইন বলেন, গত বছরের তুলনা এবার কৃষকের তরমুজ আরো ভাল হয়েছে। সাইজ এবং ফলনের গুনগতমান রং খুবই ভালো বেশ বড় হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে উন্নত  ভালো হয়েছে। রপ্তানী ও সরাসরি বিক্রির ব্যবস্থা অব্যহত থাকলে কৃষক উপকৃত হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo