• স্বাস্থ্য

দিনাজপুর খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ্যাম্বুলেন্স আছে চালক নেই, ভোগান্তিতে রোগীরা

  • স্বাস্থ্য
  • ২২ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:১৫:১১

ছবিঃ সিএনআই

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুর খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (পাকেরহাট)-এ দীর্ঘদিন থেকে এ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। সরকারী তিনটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকায় অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট মাইক্রো বা কারে রোগী পরিবহন করতে হচ্ছে। এতে করে একদিকে রোগীর স্বজনেরা লোকসানের শিকার হচ্ছেন অপরদিকে দূর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে সাধার রোগীদের । দীর্ঘ দিন ধরে এ্যাম্বুলেন্স চলাচল না করায় যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে পড়েছে ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (পাকেরহাট)-এর সর্বশেষ এ্যাম্বুলেন্স চালক প্রায় দেড় বছর আগে অনিয়মের দায়ে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার গাড়ি চালক মিলন রায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার’র গাড়ি না থাকায় তিনি কিছুদিন এ্যাম্বুলেন্স চালকের দায়িত্ব পালন করেন কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার’র নতুন গাড়ি বরাদ্দ হওয়ায় মিলন রায় তাঁর মূল দায়িত্বে ফিরে আসেন। এতে চালক শূন্য হয়ে একটি নতুন ও দুইটি পুরাতন এ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে। দীর্ঘ দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন কোন এ্যাম্বুলেন্স চালক পদায়ন না হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গ্যারেজে দুটি ও খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা একটি এ্যাম্বুলেন্সের যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে করোনা কালীন সময়ে নমুনা পৌঁছানোর কাজে নতুন এ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার গাড়ি চালক মিলন রায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুরুতর রোগীদের এখান থেকে স্থানান্তর করা হয় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থানান্তরিত রোগীদের পরিবহনের জন্য স্বজনদের ছুটতে হয় প্রাইভেট গাড়ির নিকট আর সুযোগ বুঝে প্রাইভেট গাড়িগুলো সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়। বিপদে পড়ে বেশী টাকা দিয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়মিত রোগী পরিবহন করে রোগীর স্বজনরা।

উপজেলার পাকেরহাট গ্রামের মোকছেদুল ইসলাম নামে এক যুবক জানান, সপ্তাহ খানেক আগে রাতে রোগী নিয়ে পাকেরহাট হাসপাতালে যাই। রোগীর সমস্যা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় কিন্তু দিনাজপুর যাবার জন্য সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় বেশী টাকায় প্রাইভেট একটি মাইক্রো নিয়ে আমাকে যেতে হয়। এতে টাকা বেশী লাগলেও মাইক্রো ম্যানেজ করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ বিষয়ে নব-যোগদানকৃত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমি যোগদানের পরেই এ্যাম্বুলেন্সের চালক নিয়োগের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এছাড়াও একাধিকবার মৌখিকভাবে আমি তাদেরকে জানিয়েছি। দ্রুত সময়ে শূন্য পদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক পদায়ন হলে অত্র উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo