• শিশু সংবাদ

মেয়েকে বাঁচাতে পরিবারের কান্না, অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না রিয়ার

  • শিশু সংবাদ
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:০৮:৪৪

ছবিঃ সিএনআই

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ  বাবা মায়ের চোখের সামনেই সন্তানের জীবন প্রদীপ আজ নিভতে বসেছে। বাবা মায়ের মনে সব সময় সঙ্কা প্রিয় সন্তানের জীবন প্রদীপ কখন জানি নিভে যায়। টাকার অভাবে চোখের সামনেই সন্তানকে হারিয়ে ফেলবেন কোন বাবা মায়ের পক্ষেই এটা সহ্য করা সম্ভব নয়। মেয়েকে বাঁচাতে বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন কেঁদে কেঁদে বলেন আমা রিয়াকে বাঁচান। নিজের চোখের সামনে মেয়ের এমন অবস্থা সহ্য করার মতো নয়। সাথে সাথে সন্তানের পাশে বসে অঝোরো কাঁদছেন মা রুনা আক্তার। তাদের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। রিয়া নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী। তার বয়স ১০ বছর।

পরিবার সুত্রে জানা যায়, তার ৫ মাস বয়স থেকে হার্টের সমস্যা ধরা পরে। এর পর থেকে মাঝে মাঝে অসুস্থতা দেখা দিলে চিকিৎসা নিলে কিছু দিন সুস্থ থাকে। এভাবেই দীর্ঘ ১০ টি বছর পার হয়ে যায়। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়ায় অর্থের অভাবে তার স্থায়ী কোন চিকিৎসা করা হয়নি। সম্প্রতি পরীক্ষা নিরীক্ষা পর চিকিৎসক জানান রিয়ার হার্টের মধ্যে ছিদ্র হয়েছে। বর্তমানে সে অসুস্থতায় ভোগছে। তার বাবা একজন ভ্যান চালক। টাকার অভাবে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খরচ বহন করার কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে তার। অন্যদিকে চিকিৎসক বলেছেন তাকে বাঁচাতে হলে সম্পূর্ণ চিকিৎসার খরচ বাবদ ৩লক্ষ ৬০ হাজার টাকার প্রয়োজন। বর্তমানে তার পরিবারের চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কোন পথ নেই।

সদা হাসিখুশি থাকা মেয়েটি এখন বিছানায় শুয়ে আছে। পূর্বের মতো খেলাধুলা করতে পারে না। অসুস্থ্যতায় তার বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, যত তারাতারি সম্ভব অপারেশন করতে পারলে সে সুস্থ্য হয়ে উঠবে। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এতো টাকা যোগার করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এখন মা-বাবার চোখের কান্না ছাড়া আর কোন সামর্থ্য নেই। তার বাবা-মা সরকার ও সমাজের বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগীতা চান।

রিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। জন্য পরামর্শ দেন তিনি। এতে রিয়ার হার্টে ছিদ্র রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। বর্তমানে ঢাকার হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটালের চিকিৎসক ডা. তৌফিক শাহরিয়ার হক’র চিকিৎসাধীন রয়েছে। রিয়ার বাবা জানান, মেয়ের চিকিৎসার জন্য এতো টাকা খরচ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার এই দুই চোখে কান্না ছাড়া আর কোন সামর্থ্য নেই। আমার মেয়েটিকে বাঁচাতে সরকার ও সমাজের বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষের আর্থিক সহযোগীতা চাচ্ছি। তিনি বর্তমানে তারাসহ এলাকার মানুষও সাহায্য করছেন। এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও রিয়ার চিকিৎসার টাকা জোগার করতে বিভিন্ন বৃত্তশালীদের নিকট আর্থিক সহযোগীতা চাইছেন।

রিয়ার চিকিৎসার জন্য অর্থ জোগার করতে শহরে মাইকিং করে বিভিন্ন সড়কে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছেন ইয়াং সোসাইটি, শ্রীমঙ্গল। সংগঠনের সমন্বয়ক মো. আল আমিন জানান, মানুষ মানুষের জন্য। রিয়াকে বাঁচাতে তার পরিবারকে সহযোগীতা করতে আমরা নিজেদের মানবিক বিবেচনা থেকে এগিয়ে এসেছি। রিয়ার চিকিৎসার জন্য এতো টাকা জোগাড় করা পরিবারটির জন্য একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। মৃত্যুর পথের পথযাত্রী সন্তানকে এখন টাকার অভাবে হারাতে হবে এমন ভাবনাটা যে কোনো বাবা মায়ের

জন্যই অত্যন্ত কষ্টদায়ক ব্যাপার। রিয়াকে বাঁচাতে যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি সহযোগীতা পাঠাতে চান তাহলে রিয়ার বাবার সাথে (মোবাইল: ০১৬৪৬২৯৪৭৮৪) এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo