বিনোদন ডেস্ক: ‘যৌথভাবে ঘোষণা দেওয়া নিয়ে প্রথমে খারাপ লেগেছিল। তবে আরিফিন শুভ আমার সঙ্গে পেল। এটা তার প্রথম প্রাপ্তি। এখানে খারাপের কিছু নাই। আর আমার হারানোর কিছু নেই। ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ঘোষণার পর বিতর্কের জন্য ভেবেছিলাম পুরস্কার নেব না। কিন্তু আমি না নিলে প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করা হতো।’ কথাগুলো বলছিলেন দুই বাংলার সুপারস্টার শাকিব খান। একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। হাসিবুর রেজা কল্লোল পরিচালিত ‘সত্তা’ সিনেমার জন্য যৌথভাবে ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’র পুরস্কার পেয়েছে শাকিব খান। এটা তার চতুর্থ জাতীয় পুরস্কার। কেমন লাগছে? জানতে চাইলে শাকিব জানান, ‘পুরস্কার ঘোষণার পর থেকে কিছু বিতর্ক ছিল। যাই হোক না কেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়াটা বড় ব্যাপার। প্রয়াত মান্না ভাই ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। কিন্তু উনি হাতে নিয়ে যেতে পারেননি। কারণ, তখন সময়মতো এগুলো দেওয়ার আন্তরিক চেষ্টা ছিল না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বছরের একটা দিন চলচ্চিত্রের মানুষদের সময় দেন। নিজে এসে পুরস্কার হাতে তুলে দেন, কুশল বিনিময় করেন এটাই ভালো লাগার বিষয়।’ প্রধানমন্ত্রী আপনাকে পুরস্কার দেওয়ার সময় হেসে কী যেন বলছিলেন? উত্তরে শাকিব বলেন, ‘উনি কেমন আছেন, তার শারীরিক অবস্থা কেমন এসব জিজ্ঞেস করছিলাম। আমাকেও জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি ভালো আছি কিনা, কাজ ঠিকঠাকভাবে করছি কিনা! সবমিলিয়ে উনি খুব খুশি ছিলেন।’ নিজের চলমান ‘বীর’ নিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘খুব যত্নশীল হয়ে ‘বীর’-এর কাজ করছি। মৌলিক গল্পের সিনেমা এটি। একইসাথে গল্প নির্ভর সিনেমা। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। টানা শুটিং করছি। ‘বীর’ ঈদের সিনেমা না। তাই ঈদের আগেই মুক্তি পাবে এটা কনফার্ম। আগামী বছর শুরুর দিকে ‘বীর’ আসবে। খুব শিগগির ‘বীর’-এর ফার্স্ট লুক প্রকাশ করবো।’ ঢালিউডের সিনেমার বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে কিং খান বলেন, ‘একটা সময় এদেশের সিনেমার বাজার রমরমা ছিলো। যখন তাতে ভর করলো অশ্লীলতা তখনই সিনেমাপ্রেমীরা হল হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যৌথ প্রযোজনা ও ভালো গল্পের কিছু রিলিজের কারণে নেই দর্শকগুলোই আবার হলমুখী হয়েছে। কিন্তু নিয়ম-নীতি দিয়ে আটকে যৌথ প্রযোজনায় কাজ বন্ধ হওয়ায় আবার তারা হলবিমুখ হয়েছে। যারা আন্দোলন করে যৌথ প্রযোজনা আটকালো তাদের মধ্যে কিছু মানুষ আমাকে এখন বলছে, যৌথ প্রযোজনাই ভালো ছিল। সিনেমা হলগুলো সচল ছিল। না বুঝেই আন্দোলন নেমেছিল। আমি তখনই বলেছিলাম, ব্যক্তি আক্রোশ থেকে ঈর্ষান্বিত হয়ে করা হচ্ছে। যাদের হাতে কাজ নেই তারা এখন আমাকে উপলব্ধি জানিয়ে অনুতপ্ত হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিতে যে সমিতি-সমিতি খেলা চলছে। এগুলোর তৎপরতা না কমলে সিনেমার কোনো উন্নতি হবে না। আর এতো নিয়মনীতি দিয়ে আটকালে সৃজনশীল কাজ হয় না।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জিএসটি (সাধারণ, বিজ্ঞান ও প...
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ভাদুরিয়ায়...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধ...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধ...
মন্তব্য ( ০)