• সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ

নীলফামারীতে ৫৫০৮৭ জন দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ সম্পুন্ন

  • সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ
  • ০৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:১০:০০

ছবিঃ সিএনআই

নীলফামারী প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ কার্যক্রম রবিবার নীলফামারীতে সম্পুন্ন হয়েছে। বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় নীলফামারী সদর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৫৫হাজার ৮৭জন অসহায় ও দুঃস্থ্যদের মাঝে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

এরমধ্যে সদর উপজেলার চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নে ৩ হাজার ৭শত ৩০ জন, গোড়গ্রাম ইউনিয়নে ৩ হাজার ৯ শত ৪৫ জন, খোকশাবাড়ী ইউনিয়নে ৩ হাজার ২ শত ২ জন, পলাশবাড়ী ইউনিয়নে ২ হাজার ৯ শত ৮০ জন, টুপামারী ইউনিয়নে ৪ হাজার ২ শত ১৮জন, রামনগর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৪ শত ৫৭জন, কচুকাটা ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫ শত ৯৪জন, পঞ্চপুকুর ইউনিয়নে ৩ হাজার ১ শত ৭৩ জন, ইটাখোলা ইউনিয়নে ৩ হাজার ৯ শত ৪৫জন, কুন্দপুকুর ইউনিয়নে ৪ হাজার ৪ শত ৮০জন, সোনারায় ইউনিয়নে ৪ হাজার ১ শত ৪৫ জন, সংগলশী ইউনিয়নে ৩  হাজার ২ শত ১৬ জন, চড়াইখোলা ইউনিয়নে ৪ হাজার ৩ শত ৫৩জন, চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নে ৩ হাজার ৮ শত ২১জন ও লক্ষীচাপ ইউনিয়নে ২ হাজার ৮ শত ২৮জন। সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণকালে শনিবার দেখা যায় দুস্থ ও অসহায়রা লম্বা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে।

একাধিক দুস্থ ও অসহায়দের সাথে কথা বললে তারা জানান ১০ কেজি করে চাল পেয়ে তারা রমজান মাসে আনন্দিত। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রউফ চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সকলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরো বলেন, ঈদের আনন্দকে সকলের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রয়াসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। চাল বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পুন্ন হয়েছে। উপহার হিসেবে এই চাল পেয়ে সকলে আনন্দিত এবং সন্তষ্ট হয়েছেন। এদিকে গোড়গ্রাম ইউনিয়নে চালের ওজন পরিমাপের জন্য কোন ডিজিটাল স্কেল দেখা যায়নি।

ডিজিটাল স্কেল ছাড়াই বালতিতে মেপে মনগড়া ভাবে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ চাল পাওয়া একাধিক উপকার ভোগী তাদের চাল স্কেলে মেপে দেখেন জনপ্রতি ১০ কেজি চাল না দিয়ে সাড়ে ৯ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কম দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও স্বচ্ছভাবে চাল বিতরণের দৃশ্য চোখে পড়ে।

বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দায়িত্বর ট্যাক অফিসার, ইউনিয়ন সচিব, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়নে দুস্থ ও অসহায়দের সংখ্যার চেয়ে চাল বরাদ্দ সংখ্যা কম হওয়ায় কিছু বিশৃঙ্খলার সৃষ্ঠি হয়েছে। সকলের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণের জন্য প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে ট্যাক অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হয়।

এবং স্বচ্ছভাবে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করা হয়। প্রকৃত দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিরা যাতে ভিজিএফ এর চাল থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। আমি নিজেও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শণ করেছি। এই কর্মসূচি অসহায় ও দুঃস্থদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করবে বলে আমি মনে করি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo