• সমগ্র বাংলা

আশুগঞ্জে মসজিদে নামাজের মাসাআলা নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:০২:৫৩

ছবিঃ সিএনআই

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মসজিদের ভিতরে নামাজের মাসাআলা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে দু-পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরচারতলা মোল্লা বাড়ি ও কিছকি বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে মোল্লা বাড়ির নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা ইমামতি করেন। শুক্রবার ইশা ও তারাবিহ নামাজ শেষে মসজিদের মুসল্লি কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান ইমাম সাহেবের অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু মাসাআলা নিয়ে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এতে মুসল্লিদের দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নামাজ শেষে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, তারাবিহ নামাজ শেষে কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান দু-মিনিট কথা বলতে আমার অনুমতি চাইলে আমি তাকে অনুমতি দেই। তিনি তার বক্তৃতায় এ মসজিদের কোন মুসল্লিরই নামাজ হয় না বলে ফতুয়া দিলে উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করে। এতে শফিকুল ইসলামের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদসহ আমাদের বাড়ির লোকজনের উপর হামলা করে। এসময় আমাদের বাড়ির ৫ জন গুরুতর আহত হয়।

তবে মসজিদের মুসল্লি ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন, আমি তারাবিহ নামাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু গুরত্বপূর্ণ মাসাআলার বিষয়ে ইমাম সাহেব ও মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। নামাজের প্রয়োজনীয় তাসবিহ পাঠের জন্য রুকু, সেজদা ও দাড়ানোতে পর্যাপ্ত সময় দান ও কাতার সোজা করা করার গুরুত্ব নিয়ে এসব বিষয়ে খেয়াল দিতে ইমাম সাহেবকে অনুরোধ করি।

এতে ইমাম সাহেব ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের ভিতরেই আমাকে নাজেহাল করে। পরে তারা আমার  ও আমার এক ভাইয়ের বিল্ডিং এ অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। আমার ব্যবহারের গাড়ি ও দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এসময় আমদের বাড়ির ৮ জন গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয় লোকজন জানায়, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা স্থানীয় একটি আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ। মাদারাসাটির নামকরণ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। মসজিদের মাসাআলা সংক্রান্ত বিষয়টি একটি অযুহাতমাত্র।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহাম্মেদ জানান, সংঘর্ষ বাধার সাথে সাথেই পুলিশ উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ প্রায় ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এসময় অফিসারসহ ৩ জন পুলিশ  আহত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo