• সমগ্র বাংলা

রংপুর ফুটপাতে অবৈধ ব্যবসা,নিয়ন্ত্রণে নেই সিটি

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৫ মার্চ, ২০২৪ ২২:১৯:৪৮

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরোঃ রংপুর নগরীতে যানজট নিত্যদিনের ভোগান্তির কারণ।যত্রতত্র অবৈধ পার্কিংয়ে রাস্তা আর ফুটপাত হকারদের দখলে।অবৈধ ভাবে ফুটপাত দখল করে করছে জমজমাট ব্যবসা।হাঁটার জায়গা না থাকায় পথচারীর চলাচলে সড়কে বেড়েছে তীব্র যানজট।ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও যানজট পরিস্থিতি অনেকটাই অনিয়ন্ত্রিত।নগরীর রাস্তা প্রশস্ত হলেও জনসাধারণ সুফল পাচ্ছে না।ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটার কোনো উপায় নেই দাবি সাধারন মানুষের।সিটি করপোরেশনের কাছে দাবি, দ্রুত ফুটপাত দখল মুক্ত করার।

সিটি কর্পোরেশন ভবন থেকে লালবাগ এবং রেলস্টেশন পর্যন্ত সড়ক ও ফুটপাত দখল করছে অসুধু  ব্যবসায়ীরা।ফুটপাত দখল করে রড-সিমেন্টের দোকান,সাইকেল-পার্টস,পানির পাম্প,পাওয়ার ট্রিলার,ফার্নিচার,ওয়েল্ডিংওয়ার্কসপ,জুতা-সেন্ডেল,হার্ডওয়্যারের দোকান,স্যানিটারি ফিটিংস, ক্রোকারিজ,লেপ-তোশকের দোকান,এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন হোটেলের চুলা তৈরি,সাইকেল মেরামতসহ বিভিন ভাবে দখল করে রেখেছেন।জুতা-সেন্ডেলের দোকান, বেতপট্টি দখল হয়ে গেছে।

রংপুর সিটি করপোরেশন সামনে হকাররা সারি সারি দোকান বসিয়েছে অবাধে করছে ব্যবসা।এ কারণে ফুটপাত দিয়ে চলোচল করতে পারছে না পথচারীরা।ফুটপাতের পাশেই অর্ধেক সড়কজুড়ে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছে। এ ছাড়া সড়কে অটোরিকশা,রিকশা পাকিং করে রাখা হচ্ছে।রাস্তা দখল করে কাপড়,ফলের দোকান বসিয়ে সারাবছরই অবৈধ ভাবে বেচাকেনা চলে।আবার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিভিন্ন হোটেলের রান্নার চুলাও ফুটপাতের ওপর রেখে রান্না করা হচ্ছে।

রংপুর মহানগরীর টাউন হল, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, প্রেস ক্লাব, রংপুর রিপোর্টাস ক্লাব, শাপলা চত্বর,লালবাগ এলাকার বেশির ভাগ ফুটপাত হকারদের দখলে।এতে সাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।ফুটপাতের ওপরেই ছাউনি দিয়ে পণ্য বিক্রয় করছেন তারা। অবৈধ ফুটপাট দখল করে যারা ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করার দাবি স্থানীয়দের।আবার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিভিন্ন হোটেলের রান্নার চুলাও ফুটপাতের ওপর রেখে রান্না করা হচ্ছে।

খোলা এসব রান্নার চুলার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে পথচারীদের। শুধু তাই নয়, স্থায়ী দোকানিরা দোকানের মালপত্র ফুটপাতে রেখে দেয়ায় পথচারী চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।হকাররা পণ্য সাজিয়ে ফুটপাত দখল করে রাখায় ভিড়ের কারণে পথচারীদের হেঁটে যাওয়ার সুযোগ নেই। এর ফলে বেশির ভাগ পথচারী হাঁটছেন যাতায়াতের সড়ক দিয়ে। এ কারণে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা।ঘর থেকে বের হলেই রংপুর নগরীতে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে-কাচারীবাজার এলাকায় ফুটপাত দখল করে বসেছে বিভিন্ন প্রকার চা ও ফলের দোকান দিয়ে।

জেলা প্রশাসকের ভবন ও পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে ৫০ গজ দুরে বিভিন্ন ফল ও চায়ের দোকান ফুট পাত দখল করে বসানো হয়েছে। নগরীর উদ্যানের সামনে থেকে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ পর্যন্ত একপাশের ফুটপাত দখল করে বসেছে পুরনো কাপড়ের দোকানের সারি।রংপুর পুলিশ হলের বিপরীতে সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাতের একটা বড় অংশ দখল করে বসেছে ফুলের গাছ বিক্রির দোকান। রংপুর সিটি পার্ক মার্কেটের সামনের ফুটপাত রয়েছে সাইকেলের পার্টস বিক্রির দোকানিদের দখলে।

তাদের স্থায়ী দোকান থাকলেও ফুটপাত দখল করে রেখেছে মালামাল দিয়ে।এছাড়া নগরীর মেডিকেল মোড় এলাকায়ফুটপাত দখল করে ফলের দোকান, সেই সঙ্গে রাস্তা দখল করে রয়েছে ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিং। পথচারী নাজমুল হোসেন,রেখা,সাজুসহ অনেক বলেন, নগরীর সব ফুটপাত ও সড়ক দখল করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। ফলে ফুটপাতে যাতায়াত করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফুটপাতে বিষয় বলেন,ফুটপাতে দোকান উচ্ছেদ করতে হলে সঙ্গে অনেক ফোর্স লাগে।

এর পরেও ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।আর এসব সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক আছেন। তারা নির্দেশ দিলে আমি ব্যবস্থা নেব। রংপুর মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক ডিসি মো:মেনহাজুল আলম বলছেন ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার কারনে জনসাধারনের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।এ ফলে প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে নগরীতে।অতিদ্রুত দখলদারদের উচ্ছেদ করা হলে মানুষের ভোগান্তি আর দুভোগ কমে যাবে।

তবে পুলিশ ও ফুটপাত দখল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছে।রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান,ফুটপাত দখল ও হকারমুক্ত করা হচ্ছে।ফুটপাতে হকাররা ব্যবসা করছে সিটি কর্পোরেশন অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান করছে।নগরীর সব ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে।মেয়র বলেন,এর আগে কিছু ফুটপাত  হকারমুক্তকরা হয়েছে।সেগুলোতে আবার হকাররা নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছে।এ নিয়ে হকারদের পুনর্বাসন করে কিভাবে ফুটপাতগুলো পথচারী চলাচলের জন্য মুক্ত করা যায় সেই বিষয়ে কাজ করতে হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo