• সমগ্র বাংলা

ব্রহ্মপুত্র নদে ৪৫ দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৯:৫৭:৩৬

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ৪৫ দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ। কুটিরচর এলাকায় একটি পুরাতন বক্স কালভার্ট ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানান বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এদিকে দীর্ঘদিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কোন তৎপরতা লক্ষ করা যাযনি। বেশি দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে নদের খননকৃত চ্যানেল আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে ধারনা করছেন অনেকে। 

জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউএ)’র উদ্যোগে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত দুটি ফেরিতে পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন প্রকার পরিবহন পারাপার করে আসছে। বর্তমানে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। নিয়মিত চ্যানেল খননের মাধ্যমে নাব্যতা সংকটকে অতিক্রম করে বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিতভাবে ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ী পারাপার করে আসছিল।ফলে অতি অল্প সময়ে উত্তরাঞ্চলে পণ্যবাহী পরিবহনের জন্য এই রাস্তাটি জন প্রিয়তা অর্জন করেছে। এই পথে প্রতিদিন ৩০-৪০টি পণ্যবাহী পরিবহন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করছিল। 

বর্তমানে রৌমারী ঘাট থেকে ২ কি.মি. পরে কুটিরচর এলাকায় একটি পুরাতন বক্স কালভার্ট ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।সেখানে কালভার্টটির উপরের ছাদ দেবে যাওয়ায় উপরে মোটা কাঠ ফেলে হাল্কা পরিবহন ও মানুষ পারাপার করা হচ্ছে।কোন ভারি পরিবহন তোলা হচ্ছে না। ফলে ঝুকিপূর্ণ ওই কালভার্টটির জন্য গত ১৩ জানুয়ারি থেকে চিলমারী-রৌমারী ঘাটে ফেরি পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। দীর্ঘ ৪৫ দিনেও কালভার্টের নির্মানের ব্যবস্থা না করায় ফেরি চলাচল বন্ধের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের গাফিলতিকে দায়ি করছেন ভূক্তভোগী ও এলাকাবাসী। এদিকে বেশি দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে নদের খননকৃত চ্যানেল আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে ধারনা করছেন অনেকে।

বুধবার দুপুরে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ৪৫ দিন ধরে ফেরি বন্ধ থাকায় রাস্তায় পণ্যবাহী কোন পরিবহন ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে না।এসময় মো.রিপন মিয়া, শফিকুল ইসলাম, মকবুল হোসেনসহ অনেকে জানান,ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকগুলো ট্রাক ফিরে যাওয়ায় আর কোন পরিবহন আসছে না।

ফেরি কুঞ্জলতার মাস্টার অফিসার রেজাউল করিম জানান, কর্তৃপক্ষ ব্রিজের নিচে কিছু বালু ফেলেছে, বিকল্প রাস্তা এখনো তৈরী হয়নি। ব্রিজটির সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ফেরি বন্ধ থাকার কথা জানান তিনি।   

ফেরি ঘাট ম্যানেজার (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা করা হলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo