• জাতীয়
  • লিড নিউজ

এক শ্রেণির মানুষ ‘কিছুই ভালো লাগে না’ রোগে আক্রান্ত: শেখ হাসিনা

  • জাতীয়
  • লিড নিউজ
  • ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৮:২৪:০৭

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ এক শ্রেণির মানুষ ‘কিছুই ভালো লাগে না’ রোগে আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত, তারা কিছুই ভালো লাগে না রোগে আক্রান্ত।

বৃহস্পতিবার বিকালে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বিশ্বের বুকে যে পরিচয়টা পেয়েছি, সেটা দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যে মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, আমরা যে স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি সেটা তার হাত ধরেই এসেছে। এ উপমহাদেশে একমাত্র ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ। সে জাতি রাষ্ট্র আমরাই পেয়েছি। 

তিনি বলেন, আমাদের দেশের কিছু আঁতেল এক সময় বলেছে- শেখ মুজিব ভালো প্রশাসক ছিলেন না। অথচ যে সেক্টরে হাত দিয়েছি, দেখেছি মূল কাজটা বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ করে দিয়ে গেছেন। তার দেখানো পথেই আমরা এগিয়েছি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে ১৯৫৮ সাল থেকেই পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট করত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি ৯৬ সালে সরকার গঠন করে এসবির অফিস থেকে সমস্ত ফাইল সংগ্রহ করি। আমার সঙ্গে ছিল বেবী মওদুদ, দুইজনে মিলে ফাইলগুলো পড়ি। ভাষা আন্দোলনে তিনি কী কী কাজ করেছেন- তা কিন্তু স্পষ্ট হয়েছে। প্রথম খণ্ডেই অনেক তথ্য পাবেন। রিপোর্টগুলো যেহেতু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে এটা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সবকিছু অর্জন করতে হয়েছে অনেক আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। ৪৭ সালে করাচিতে একটা শিক্ষা সম্মেলন হয়, সেখানে বলা হয় রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা এই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানায়। 

তিনি বলেন, এক সময় আমি বঙ্গবন্ধুর ভাষা আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য দিলাম। আমাদের দেশের একজন লেখক (বদরুদ্দিন ওমর), তিনি আমার ওপর ক্ষেপে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে লিখলেন, আমি নাকি এই সমস্ত তথ্য বানিয়ে লিখেছি। আমি আর বেবী মওদুদ তথ্যগুলো নিয়ে এম আর আক্তার মুকুল ভাইয়ের বাসায় যাই। উনাকে দিয়ে জবাবটা লেখালাম। সে সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী তখন তাকে দিলাম। বললাম, আপনিই লেখেন। আমরা তো চুনোপুঁটি। আমরা লিখলে হবে না।উনি লিখলেন, তারপর আর কোনো কথা নেই। ইতিহাসকে বিকৃত করা এবং বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করা, এটা আমাদের দেশের এক শ্রেণির মানুষ করে। এখনো দেখবেন যা কিছু করেন কোনো কিছু তাদের ভালো লাগে না। ভালো না লাগার গ্রুপই আমাদের নামে বদনাম ছড়ায় সব জায়গায়। তাদের কিছু ভালো লাগে না। এটাই হলো বড় কথা। 

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আর তা মুছতে পারবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ওই দিন সরকারি ছুটি দেওয়া, শহিদ মিনার তৈরি প্রকল্প গ্রহণ ও বাজেট দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ বা জাতির পিতা বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রহ করেছেন। এই সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা আজ মুক্তি পেয়েছি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo