ছবিঃ সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে যে হামলা চালিয়েছে, তার জবাবে দেশটি গাজায় যে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে তা মাত্রা ছাড়িয়েছে। হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে হুশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা বলেন। গাজায় চলমান যুদ্ধের চার মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম ইসরাইলের প্রতি কঠোর ভাষায় কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
বাইডেন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আপনি জানেন— গাজায়, গাজা উপত্যকায় (হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার বিপরীতে ইসরাইলি) প্রতিক্রিয়ার মাত্রা ছাড়িয়েছে।’ এ সময় তিনি যোগ করেন, তিনি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পেতে ইসরাইলকে কঠোরভাবে চাপ দিচ্ছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতেও সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি জিম্মিদের মুক্ত ও যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে এখন কঠোরভাবে চাপ দিচ্ছি। অনেক নিরপরাধ মানুষ আছে, যারা ক্ষুধার্ত, অনেক নিরপরাধ মানুষ যারা কষ্টে আছে এবং মারা যাচ্ছে—এটি বন্ধ করতে হবে।’
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বুধবার তেলআবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৭ অক্টোবর হামাস যা করেছে, সেটাকে ‘অন্যদের অমানবিক পরিস্থিতিতে’ ঠেলে দেওয়ার লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ ইসরাইলের নেই।
অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলিদের সঙ্গে সবচেয়ে ভয়ংকর উপায়ে অমানবিক আচরণ করা হয়েছিল। সেদিনের পর থেকে (হামাসের হাতে বন্দী) জিম্মিরা প্রতিদিন অমানবিক আচরণের শিকার হয়েছে। তবে এটি কখনোই অন্যদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করার লাইসেন্স হতে পারে না।’
ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্যকে ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কড়া ধমক বলেই উল্লেখ করেছে। ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের মধ্যে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় বেসামরিক হতাহত ও যুদ্ধের সময় সেখানকার মানবেতর পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রতি হোয়াইট হাউসের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ। বুধবার ব্লিঙ্কেনের দেওয়া বক্তব্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর।
ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেছেন, ‘গত ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে গাজার সিংহভাগ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। গাজার অনেক পরিবারের বেঁচে থাকা নির্ভর করে ইসরাইলি সহায়তার ওপর। তারাও তো আমাদেরই পরিবারের মতো। তারাও আমাদের মা, বাবা, ছেলে ও মেয়ের মতো। যারা ভালো জীবিকা অর্জন করতে চায়, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চায় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চায়। তাদের প্রকৃত পরিচয়ই এটা।’
বিনোদন ডেস্কঃ একজনের মৃত্যুর রেশ কাটিয়ে উঠার আগেই আরেক জন...
স্পোর্টস ডেস্কঃ ভাল ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে বাকি কাজটা দারু...
নিউজ ডেস্কঃ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে ...
দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দেশব্যাপি চলমান প্রবল তাপদাহে অ...
মন্তব্য ( ০)