• জাতীয়

পাবনা প্রেস ক্লাবের সঙ্গে আমার অন্তরের সম্পর্ক: রাষ্ট্রপতি

  • জাতীয়
  • ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪ ১৬:২১:৪০

ছবিঃ সিএনআই

পাবনা প্রতিনিধিঃ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘পাবনা প্রেস ক্লাব ও পাবনার সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার আজীবন ও অন্তরের সম্পর্ক। আমি প্রাণ দিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানকে লালন করি, তার মধ্যে পাবনা প্রেস ক্লাব অন্যতম। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।’ মঙ্গলবার রাতে পাবনা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ আড্ডায় তিনি এই স্মৃতিচারণ করেন। তিনি পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি পাবনা জেলার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। এজন্য কোনো সমালোচনা বা পিছুটান মনে রাখি না। আমি সাধ্যমতো জেলার উন্নয়নে কাজ করব। আমি ইছামতী নদীর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দিয়েছি, যাতে একটি দৃষ্টিনন্দন শহর উপহার দেওয়া যায়। ৫০০ শয্যার পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহায়তায় পাবনার উন্নয়নে আমি কাজ করে যাব।

পাবনা প্রেস ক্লাবের নিজস্ব ভবন তৈরিতে আমার সার্বিক সহায়তা থাকবে। পাবনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাহ উদ্দিন আহমেদ, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন, পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি শিবজিত নাগ, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি লায়ন বেবী ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেস ক্লাবে এসে পৌঁছালে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ক্লাব সভাপতি, সম্পাদকসহ সাংবাদিক নেতারা।এদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউজ থেকে গাড়িতে চড়ে প্রথমে অন্যতম আড্ডাস্থল পাবনা ডায়াবেটিকস সমিতিতে যান রাষ্ট্রপতি। সেখানে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে পায়ে হেঁটে আসেন আরেক আড্ডাস্থল লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারে। সেখান থেকে যান প্যারাডাইস সুইটে। সেখানে তিনি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং নিজের প্রিয় ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া খান। লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক ভোলানাথ ঘোষ বলেন, আমাদের প্রিয় মানুষ রাষ্ট্রপতি আজ আমার দোকানে এসেছিলেন।

এসে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন, কেমন আছি জানতে চাইলেন। খোঁজখবর নিলেন। আমি খুব খুশি হয়েছি। ভোলানাথ ঘোষ আরও বলেন, আমার এই দোকানে তিনি এক সময় আড্ডা দিতেন। আমাদের এখানকার সকালের নাস্তা তিনি খুব পছন্দ করতেন। এত বড় মানুষ হয়েও তিনি এখনও তেমনি নিরহংকারী আছেন। আমাদের দোকানকে তিনি এখনও মনে রেখেছেন ভেবে খুব ভালো লেগেছে। প্যারাডাইস সুইটসের মালিক আবু ইসহাক শামীম বলেন, রাতে রাষ্ট্রপতি আমাদের দোকানে আসেন। সবার খোঁজখবর নিলেন।

রাজনৈতিক ও ছাত্রজীবনে তিনি আমাদের দোকানে বসতেন, আড্ডা দিতেন। আমাদের দোকানের ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া ছিল তার খুব পছন্দের। আজকেও তিনি অল্প করে ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া খেয়েছেন। তার আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ। পাবনায় তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার দুপুরে হেলিকপ্টারে রাষ্ট্রপতি ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে সড়কপথে পাবনা সার্কিট হাউসে আসেন। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo