• জাতীয়
  • লিড নিউজ

'নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করুন, ভালোবাসার এই ঋণ শতগুণ বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেবো'

  • জাতীয়
  • লিড নিউজ
  • ০৬ জানুয়ারী, ২০২৪ ১৯:০০:১৯

ছবিঃ সিএনআই

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর - ৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা, লক্ষ্য এবং প্রত্যাশা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। 

প্রথমেই মোঃ আবুল কালাম আজাদ-কে প্রশ্ন করা মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তাঁকে পেয়ে জামালপুরবাসীর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। এ বিষয়ে তিনি জানান, দীর্ঘ সময় ধরেই জনগণ নৌকাকে সমর্থন করে আসছে। আর এবারের নির্বাচনে জামালপুর - ৫ (সদর) আসনের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমার এলাকার মানুষ এই সিদ্ধান্তে ভীষণ উচ্ছ্বসিত। নির্বাচনী প্রচারণায় বের হলেই দেখছি আশ-পাশের ঘর-বাড়ি থেকে ছেলে-বুড়ো সকলে রাস্তায় বেরিয়ে এসে আমাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে। আগে আমি বা আমার দলের কর্মীরা সকলকে দেখে হাত নেড়ে সম্বোধন করতাম, জয় বাংলা স্লোগান দিতাম। আর এখন সাধারণ জনগণ আমাদের দেখে হাত নেড়ে স্লোগান দেয়। জনগণের অভ্যর্থনা ও হাসিমুখ এটি প্রমাণ করে যে, জামালপুর জেলা নৌকার ঘাটি, শেখ হাসিনা’র ঘাটি ছিল, আছে এবং থাকবে। এটিই জনগণের ভালোবাসা, সমর্থন এবং নৌকার প্রতি আস্থার প্রমাণ। আমার অগাধ বিশ্বাস, জামালপুর - ৫ (সদর) আসনের জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করে শেখ হাসিনার হাত আরও শক্তিশালী করবে। 

আজাদ এর কাছে জানতে চাওয়া হয় জামালপুরে কোন সমস্যাটি নিরসনে তিনি কাজ করবেন, যা এতো বছরেও সমাধান হয়নি? এর উত্তরে তিনি বলেন, জামালপুর একটি সম্ভাবনাময় জেলা। এখানে বিকাশ ও উন্নয়নের অসংখ্য সুযোগ রয়েছে। তবে এসবের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশেষ করে জামালপুর সদরে এখনো অনেক কাঁচা রাস্তা রয়েছে যেখানে গাড়ি, বাস, ট্রাক তো দূরের কথা, রিক্সা বা মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াতও মুশকিল হয়ে পড়ে। এলাকায় যাদের সাথেই সাক্ষাৎ হয় সকলেরই দাবি এলাকার রাস্তাগুলো সংস্করণ করা। তাই আমি একটা নতুন স্লোগান তৈরি করেছি, ‘রাস্তা চাই, ভোট চাই’। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে, এই একটি সমস্যা নিরসনের মাধ্যমে জেলায় অসংখ্য উন্নয়নের দ্বার উন্মুক্ত হবে। উদাহরণস্বরূপ; আমাদের এই ইউনিয়নেই একটি ইকোনমিক জোন হয়েছে, যেখানে বিপুল পরিমাণে কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে এখানে বিভিন্ন বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে এবং সার্বিক উন্নয়ন বাস্তবায়নসহ জনজীবন সহজতর হবে।  

নির্বাচনে বিজয়ী হলে জামালপুরের উন্নয়ন বিষয়ে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে জানতে চাইলে আজাদ বলেন, “জামালপুরের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ও পণ্য মজুদকরণ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে একটি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ; বন্যার পানি ধরে রাখতে একটি বাফার-জোন নির্মাণ; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট এগ্রিকালচাল বাস্তবায়ন, যেখানে হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাঁটা, বীজ-বপন, ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক প্রয়োগ ইত্যাদি সম্ভব হবে; জামালপুরের ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান নিশ্চিত; জামালপুরে ঝিনাই নদীর পাড়ে ‘শেখ হাসিনা নকশিপল্লী’ গঠন, যেখানে নকশি কাঁথার কারিগরদের আবাসস্থল হবে ও তাদের পণ্যগুলো তৈরি হবে। লক্ষ্মীরচর ও তুলশীরচর সহ সদরের সকল এলাকার রাস্তার উন্নয়ন করা জণগণের প্রাণের দাবি এবং সদরের সকল রাস্তার বর্তমান বেহাল অবস্থার সমাধান করা।  লক্ষ্মীরচর ও তুলশীরচর এই দুই ইউনিয়নে কোন কলেজ নাই! শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কলেজ নির্মাণ এবং যেই সকল ওয়ার্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই ওই সকালে ওয়ার্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা এবং সংস্কারযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধন; কর্মক্ষেত্র ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডে-কেয়ার সেন্টার নির্মাণ; স্মার্ট ও সমৃদ্ধ জামালপুর বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ইত্যাদি। 
ময়মনসিংহ বিভাগ দেশের একমাত্র বিভাগ যেখানে কোন বিমানবন্দর নেই। আমার একটি স্বপ্ন জামালপুর জেলাকে অগাধিকারে রেখে ময়মনসিংহ বিভাগে একটি বিমানবন্দর নির্মিত হবে। নির্বাচনে জয় লাভ করলে অতিসত্বর এই প্রকল্প নিয়ে আমার কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। 

আমি আশা করি এই লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে জামালপুর - ৫ (সদর) আসনের জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং জাতির পিতার সুযোগ্য কণ্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমার প্রতি তাঁর আস্থা বজায় রাখবেন। 

উল্লেখ্য, মোঃ আবুল কালাম আজাদ জামালপুর সদরের দেওয়ানপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। জামালপুর জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

মন্তব্য ( ১)





image
  • company_logo