• অর্থনীতি

সুনামগঞ্জে ১১০ টাকা কেজিতে পেয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত, কেনা যাবে সর্বোচ্চ ২ কেজি

  • অর্থনীতি
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৫:২৭:৫৯

ছবিঃ সিএনআই

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ভারতের পেয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর হুট করে সারাদেশে পেয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। সুনামগঞ্জেও ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়তে থাকে পেয়াজের মূল্য। এমন পরিস্থিতিতে পেয়াজের দাম নিয়ন্ত্রনে ব্যবসায়ীদের সাথে জরুরী সভা করেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। সভায় পেয়াজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি প্রমাণিত হওয়ায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন তারা। পরে ১১০ টাকা কেজি দরে পেয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত দেন জেলা প্রশাসক। 

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিজন কুমার সিংহের সঞ্চালনায় সভায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ী, চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক ,  বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, পুলিশের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন। 

বক্তব্যে বক্তারা পেয়াজ ব্যবসায়ীদের কঠোর সমালোচনা করে জানান, আমদানি বন্ধের ঘোষণার সাথে সাথে পেয়াজের সিন্ডিকেট করে ঘন্টায় ঘন্টায় দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে কেজিতে ৮০-৯০ টাকা বেড়ে গেছে। পুরাতন স্টককে নতুন দেখিয়ে ২০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে। জনগণের উপর জুলুম না করে নীতি নৈতিকতার সাথে ব্যবসা করার আহবান জানান। নাহলে এসব রোধে শুধু অর্থদণ্ড যথেষ্ট নয়। কারাদন্ডের পাশাপাশি কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, আমরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়ের কথা শুনেছি। কিছু কিছু ব্যবসায়ীদের কারসাজি প্রমানিত হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। যারা এমন কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে আজকের সভা থেকে কঠোর বার্তা দিতে চাই। আজ থেকে আগামী কয়েকদিন বাজার কঠিন ভাবে মনিটরিং করা হবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হবে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে যেখানে অতিরিক্ত মজুদের খবর পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান চালানো হবে। এছাড়াও মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে খুচরা পর্যায়ে ১০৫-১১০ টাকা কেজিতে পেয়াজ বিক্রি করতে হবে। এর সাথে যৌক্তিক লভ্যাংশ যোগ করা যেতে পেরে। সেটা অবশ্যই ৫-১০ টাকার বেশি নয়। আপাতত সামনের কয়েকদিন পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১-২ কেজির বেশি পেয়াজ বিক্রি না করাই ভালো হবে। সবাইকে আজকের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবসা করার আহবান জানাচ্ছি। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ বিন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আল আমিন সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo