• আন্তর্জাতিক
  • লিড নিউজ

ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইরানে গেলেন হামাসের শীর্ষ নেতা

  • আন্তর্জাতিক
  • লিড নিউজ
  • ০৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:০০:১৩

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলে হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। ইরানপন্থী এ সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সীমান্তের ওপারে একটি ইসরায়েলি সামরিক যানে আক্রমণ করেছে। ওই সামরিক পরিবহনে থাকা ইসরায়েলি সেনারা নিহত ও আহত হয়েছে। অপরদিকে ইরান সফরে গেছেন হামাসের এক শীর্ষ নেতা। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের ইফতাহতে একটি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।তারা জানিয়েছে, লেবাননের যে স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে, সেখানে পাল্টা আক্রমণ করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাদের এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা বলা হয়নি। হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরায়েলে তারা বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর ফলে সীমান্তে থাকা ইসরায়েলি সেনাদের সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে উড়ে আসা একটি ড্রোনকে বাধা দিয়েছে।অপরদিকে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া ইরান সফর করে সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

হামাসের পলিটব্যুরো সদস্য এবং লেবাননে হামাসের প্রতিনিধি ওসামা হামদান এ খবর জানিয়েছেন। হামদানের বরাত দিয়ে গতকাল (শনিবার) লেবানন-ভিত্তিক আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, হানিয়া দু’দিন আগে ইরান সফর করে আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে ওই সাক্ষাতে দুই নেতার মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা সঙ্গত কারণেই ওসামা হামদান প্রকাশ করেননি।

তিনি বলেছেন, যুদ্ধের সময় সমর-নেতাদের আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয় না। কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক দফতর অবস্থিত। ইসমাইল হানিয়া ২০১৯ সাল থেকে হামাসের দোহা দফতরে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় বর্তমানে ইসরায়েল-বিরোধী যুদ্ধে হামাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের অপর সাহসী নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার।

গাজায় অনুপ্রবেশ করে ইসরায়েলি সেনারা হামাসের হাতে ব্যাপকভাবে মার খাওয়ার পর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী গতকাল (শনিবার) সিনওয়ারকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা হানিয়া এমন সময় ইরান সফর করলেন যখন গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে এই সংগঠনের অভূতপূর্ব অভিযানে ১,৪০০ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।

অবশ্য ওই অভিযানের পরদিন থেকে গাজা উপত্যকার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের পাশবিক ও নির্বিচার বিমান হামলা চলছে এবং এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ শিশু ও নারী। ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন।

‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo