• আন্তর্জাতিক
  • লিড নিউজ

কাতারের মধ্যস্থতায়, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা

  • আন্তর্জাতিক
  • লিড নিউজ
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:০৫:০৭

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চেষ্টায় মধ্যস্থতা করছে কাতার। যদিও যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে আসছে ইসরায়েল। এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় বিপর্যয় পরিস্থিতি শুরু হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা দ্রুততার সঙ্গে এগোচ্ছে। এই অগ্রগতিকে ৩ সপ্তাহ ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ক্ষেত্রে নতুন মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। 

এমন পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কাতার। কোথায়, কীভাবে এই আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও দোহা ইন্সটিটিউটের ইন্টারন্যাশনাল কনফ্লিক্ট রেজোল্যুশন অনুষদের ডিন ইব্রাহিম ফ্রাইহাত বলেন, ‘সম্ভাব্য যুদ্ধ বিরতি ও বন্দি বিনিময়ের ক্ষেত্রে আলোচনায় বড় অগ্রগতি হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, ইসরায়েল যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে, এমনকি মানবিক যুদ্ধবিরতিও। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত বৃহস্পতিবার এক সভায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এতটুকু বলতেও তারা কিছুটা লজ্জিত। সে অর্থে ইইউ থেকে ইসরায়েলের ওপর তেমন বড় ধরনের চাপ নেই। 

এছাড়া, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য পরিচালিত জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ্পে লাজ্জারিনি বলেন, ‘আমরা যখন বলছি গাজার বেসামরিক লোকজন প্রাণ হারাচ্ছেন, শুধু গোলাবর্ষণ আর বিমান হামলাতেই তারা মারা যাচ্ছেন না, গাজায় চাপিয়ে দেওয়া অবরোধের কারণে অচিরেই অনেকেরই প্রাণহানি হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘মৌলিক পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ওষুধ ফুরিয়ে যাচ্ছে। খাবার ও পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে। গাজার সড়কগুলোর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পয়োনিষ্কাশনের পানি। 

আমরা জানি, ইসরায়েল যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে, এমনকি মানবিক যুদ্ধবিরতিও। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত বৃহস্পতিবার এক সভায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এতটুকু বলতেও তারা কিছুটা লজ্জিত। সে অর্থে ইইউ থেকে ইসরায়েলের ওপর তেমন বড় ধরনের চাপ নেই’
ইব্রাহিম ফ্রাইহাত
 ডিন, ইন্টারন্যাশনাল কনফ্লিক্ট রেজোল্যুশন অনুষদ, দোহা ইন্সটিটিউট।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকে গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সঙ্গে উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ, পানি, খাবার, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে চরম মানবিক সংকটে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন তারা।

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু। একই সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অভিযানে ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo