ছবিঃ সিএনআই
তোফাজ্জল হোসেন বাবু,পাবনাঃ পাবনার সুজানগরের এক সময়ের প্রচণ্ড খরস্রােতা ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিল চলতি মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেকারণে বিলে এখন আর তেমন মাছের দেখা মিলছেনা। তবে বিলে এখন মাছ পাওয়া না গেলেও বিলের অধিকাংশ উঁচু জমিতে পেঁয়াজ শোভা পাঁচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানা মিলে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে গড়ে উঠা ওই গাজনার বিলে একসময় সারা বছর পানি থৈথৈ করতো। সে সময় উপজেলার মৎস্যজীবীরা বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু কালের আবর্তনে বর্তমানে বিলটিতে আর সারা বছর পানি থাকেনা। বছরের ৬ মাস পানি থাকলেও আর ৬ মাস শুকনা থাকে। চলতি মৌসুমে বিলের কিছু কিছু অংশে পানি থাকলেও বেশিরভাগ উঁচু এলাকা শুকিয়ে গেছে। ফলে বিলপাড়ের কৃষকেরা শুকিয়ে যাওয়া ওই জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছে। বর্তমানে বিল জুড়ে মাছের পরিবর্তে শোভা পাঁচ্ছে শুধু পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ।
বিল পাড়ের খয়রান গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান বলেন, গাজনার বিলে কখনও ফসল আবাদ করা যাবে একথা ভাবাই যায়নি। কেননা বেশিদিন আগের কথা নয়, প্রচণ্ড খরস্রােতা গাজনার বিলের বিশাল ডেউয়ের তোড়ে বিল পাড়ের মানুষের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। মানুষ অনেক সময় ভয়ে খেয়া নৌকায় বিল পারি দিয়ে কোথাও যাওয়ার সাহস পর্যন্ত পায়নি। আর মাছের কথাতো বলে শেষ করা যাবেনা। বিলে মাছ আর পানি ছিল প্রায় সমান। অথচ কালের আবর্তনে আজ সেই গাজনার বিল শুকিয়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ ও ধানসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ হচ্ছে। শুধু তাইনা গাজনার বিলে পেঁয়াজ ও ধান আবাদ করে অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে গাজনার বিলে মাছের দেখা না মিললেও বিলের উঁচু জমিতে আবাদ করা পেঁয়াজের দেখা মিলছে। আশা করছি গাজনার বিলের পেঁয়াজে কৃষকের ভাগ্য বদলে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জিএসটি (সাধারণ, বিজ্ঞান ও প...
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ভাদুরিয়ায়...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধ...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধ...
মন্তব্য ( ০)