• শিশু সংবাদ

আশুলিয়ায় শিশু ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, শিক্ষক আটক 

  • শিশু সংবাদ
  • ২৭ মার্চ, ২০২১ ১৫:৪৫:০০

প্রতীকী ছবি

আশুলিয়া প্রতিনিধিঃআশুলিয়ায় নতুন জামা দেখাতে গিয়ে ৪বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই শিক্ষককে আটক করেছেন পুলিশ। শনিবার সকালে এঘটনায় শিশুটির পরিবার থানায় একটি লিখিত মামলা দায়ের করেন।

এরআগে শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার ভাধাইল মধ্যপাড়া এলাকার ইসলাহুল উম্মা মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। 

শিশুটি মা-বাবা জানায়, ভাধাইল মধ্যপাড়া এলাকার মেম্বার সাদেক ভূইয়ার বহুতল ভাড়া বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকি এবং আমি ও আমার স্বামী একটি কারখানায় চাকরি করি।  ওই ভবনের তৃতীয় তলায় ইসলাহুল উম্মা নামে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। আমার ৪ বছরের কন্যা শিশু মাঝেমধ্যে ওই মাদ্রাসার হুজুরের ভাতিজার সাথে খেলাধুলা করতে যেতো। শুক্রবার রাতে মার্কেট থেকে আমার শিশুর জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনে নিয়ে আসি। জামা-কাপড় পেয়ে খুশিতে সে ওই মাদ্রাসার আউয়াল শিক্ষককে দেখাতে যায়। এরপরে শিক্ষক আউয়াল আমার শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার মেয়ে এই ঘটনা আমাকে জানালে আমি এলাবাসীকে জানাই। পরে এলাকাবাসী তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। এরপরে এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।

এলাকাবাসী জানান, মাদ্রাসাটির ভবন মালিক স্থানীয় মেম্বার আবু সাদেক ভূইয়া। তার দাপটে মাদ্রাসাটি শিক্ষকেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রায়ই ওই মাদ্রাসায় এ ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ সংগঠিত হয়ে থাকে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানটির মালিক কাজী সৈয়ব ওরফে শিহাব সাদেক ভূইয়ার দোহাই দিয়ে অবৈধভাবে বিবাহ, তালাক রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। যা আইনত দণ্ডনীয়। এছাড়া অনুমোদন বিহীন প্রতিষ্ঠানটি খুলে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলো। এই ঘটনাটি তারই বহিঃ প্রকাশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়ার ৪বছরের মেয়ে সন্তানের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপের চেষ্টা করে। এই ঘটনা আমরা জানতে পেরে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছি। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) মোঃ মিলন ফকির জানান, ভাদাইল মধ্যপাড়া এলাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ৪বছরের কন্যা সন্তানকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী তাকে ধরে থানায় খবর দিলে আমরা তাকে আটক করি। এরপরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo